আনদং-র জু-টোপিয়াম: পর্ব-২: সরীসৃপ প্রাণীদের একটি সংক্ষিপ্ত সরল বর্ণনা (Andong Zootopium: Part-2: A brief, simple description of reptiles)
আনদং-র জু-টোপিয়াম: পর্ব-২: সরীসৃপ প্রাণীদের একটি সংক্ষিপ্ত সরল বর্ণনা (Andong Zootopium: Part-2: A brief, simple description of reptiles)
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
এর আগের পর্বে আমি আনদং-র জু-টোপিয়াম এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী সম্বন্ধে একটু সরলীকৃত বিবরণ দিয়েছি। সেটি পড়ার জন্যে ক্লিক করুন পর্ব-১।
এবার একটু সরীসৃপ (Reptiles; class: Reptilia) প্রাণীদের দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক। আনদং-র চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের সংগ্রহে অনেক সরীসৃপ প্রাণী এখানে প্রদর্শনের জন্যে রেখেছেন। সরীসৃপ বলতে সাধারণভাবে কচ্ছপ, টিকটিকি, গিরগিটি, সাপ, কুমির এসকল প্রাণীকে বোঝায়। বর্তমানে অবলুপ্ত ডাইনোসরও কিন্তু এই সরীসৃপ শ্রেণীর অন্তৰ্ভূক্ত প্রাণীই ছিল। এই শ্রেণীর প্রাণীরা প্রথম সম্পূর্ণভাবে স্থলে বসবাস করতে শুরু করে। একটু পরিষ্কার করে বলি, এর পূর্বে উভচর শ্রেণীর প্রাণীরা জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে কোনো পর্যায় জলে আবার কোনো পর্যায় স্থলে অতিবাহিত করে। কিন্তু সরীসৃপ শ্রেণীর অন্তর্গত প্রাণীরা এবার জল ছেড়ে স্থলে বসবাস করতে শুরু করে, এবং এ জন্যে প্রয়োজনীয় শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনও তাদের দেহে লক্ষ্য করা যায়। এরা ঠান্ডা রক্তের প্রাণী আর তাই সাধারণত একটু উষ্ণপ্রধান অঞ্চলে এদের দেখা যায়। এদের শরীরের চামড়ায় কোনো গ্রন্থি নেই, কারোর কারোর লিম্ব (Limb; হাত/পদ) থাকে, আবার কারোর কারোর থাকে না। যে সকল সরীসৃপের লিম্ব থাকে, তা সংখ্যায় দুই জোড়া এবং প্রতিটি পদ পাঁচটি আঙ্গুল বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এদের কানের জায়গায় একটি ছোট ছিদ্র দেখতে পাওয়া যায়, যা টিমপ্যানাম (Tympanum) নাম পরিচিত, এবং সাধারণত এদের দেহে আঁশ (Scale) বর্তমান (তবে তা নানা প্রকারের)। আশা করি সরীসৃপ সম্বন্ধে একটা সহজ ধারণা দিতে পারলাম। এই সকল সরীসৃপ ক্লাসটিকে বোঝার সুবিধার্থে কয়েকটি সাবক্লাসে বিভক্ত করা হয়ে থাকে, যা মূলত খুলির (Skull) গঠনের উপর ভিত্তি করে। এস্থানে আমরা জটিল বিষয়ের অবতারণা না করে সরলভাবে বোঝার চেষ্টা করবো এবং এই শ্রেণীর বহু প্রাণী বর্তমানে অবলুপ্ত, কাজেই সেই সকল প্রাণীর অবতারণা করে বিবরণটিকে দীর্ঘ করবো না। প্রথম সাবক্লাসটি হলো এন্যাপসিডা (Anapsida) যার অন্তর্গত অর্ডারটি চেলোনিয়া (Chelonia), গ্রিক শব্দ ‘Chelone’-র অর্থ tortoise বা কচ্ছপ। কচ্ছপ বললেই সবাই ধারণা করতে পারে এদের শরীর একটি শক্ত খোলার মধ্যে থাকে (উপরের ডরসাল (Dorsal) দিকটি যে শিল্ড দিয়ে আবৃত তা ক্যারাপেস (Carapace) এবং ভেন্ট্রাল দিকটি যে প্লেট দিয়ে আবৃত তা প্লাসট্রন (Plastron) নাম পরিচিত), দেহটি উপবৃত্তাকার, দুই জোড়া পা বর্তমান আর তাতে পাঁচটি করে আঙ্গুল (Digits) আছে, জলচর (সামুদ্রিক) কচ্ছপের ক্ষেত্রে সামনের পা দু’টি প্যাডেলে অভিযোজিত হয়েছে, এদের দাঁত নেই কিন্তু চোয়ালে একধরণের হর্নি প্লেট বর্তমান, খুব ছোট একটি লেজ বর্তমান। শীতপ্রধান অঞ্চলে এরা ঠান্ডায় শীতঘুমে যায়।

এর পর আসি সাবক্লাস লেপিডোসাউরিয়া-য় (Lepidosauria)। ‘Lepis’ কথার অর্থ Scale বা আঁশ আর ‘Squaros’ কথাটির অর্থ Lizard/ লিজার্ড। এই সাবক্লাসের অন্তর্গত দু‘টি প্রধান অর্ডার হলো রিনকোসেফালিয়া (Rhynchocephalia) এবং স্কোয়ামাটা (Squamata)। ‘Rhychos’ কথাটির অর্থ Beak বা চঞ্চু আর ‘Kephala’ কথাটির অর্থ মাথা। এর উদাহরণ হলো স্ফেনোডন/ টুয়াটারা (Sphenodon/ Tuatara)। এবার আসি স্কোয়ামাটা অর্ডারে। এর অর্থ আঁশযুক্ত, সকল লিজার্ড, আর সাপ এই অর্ডারভুক্ত প্রাণী। বৃহৎ এই অর্ডারটিকে কয়েকটি সাব-অর্ডারে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন ল্যাসেরটিলিয়া (Lacertilia), ‘Lacerta’ কথাটির অর্থ লিজার্ড। কাজেই সহজেই অনুমান করা যায় গেকো (Gekko), ড্রাকো (Draco), ক্যামেলিওন (Chamaeleon), মাবুয়া (Mabuya), ফ্যারিনোসোমা (Pharynosoma), হেমিড্যাকটাইলাস (Hemidactylus) ইত্যাদি এই সাব-অর্ডারের অন্তর্গত।


এরপর সাব-অর্ডার অফিডিয়া (Ophidia) বা সারপেন্টেস (Serpentes), সকল প্রকার সাপ এই
বিভাগের অন্তর্গত। পরবর্তী সাব-অর্ডারটি হলো এমফিসবেনিয়া (Amphisbaenia), ওয়ার্ম লিজার্ড (Worm lizard) এর উদাহরণ।


উষ্ণ প্রধান হওয়ার দরুন আমাদের দেশে সাপের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতন। গ্রাম বাংলায় সাপে কাটা, সাপে কাটায় মৃত্যু কথা প্রায়ই শোনা যেত, এখনও যায় তবে স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিকাঠামোর কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কিছুটা কমেছে। এই সাপ নিয়ে প্রচুর কাহিনীও প্রচলিত রয়েছে , বলাই বাহুল্য অনেকাংশে তা অসত্য। যেমন সাপের মাথায় কোনো মণি থাকে না, এ কেবলমাত্র কল্পনা। যাইহোক, এ প্রসঙ্গ যখন উত্থাপিত হলো তখন কয়েকটি তথ্য এখানে পরিবেশন করি। আমাদের পৃথিবীতে প্রায় তিন হাজার প্রজাতির সাপ রয়েছে এর মধ্যে কিন্তু অধিকাংশ নির্বিষ সাপ, বিষধর সাপ রয়েছে প্রায় ৬০০ প্রজাতির। এই নির্বিষ সাপগুলি আবার সব সময় ক্ষতিকর নয় এমনটা কিন্তু নয়, যেমন পাইথন (Python), বিষ না থাকলেও শিকারকে এরা পেঁচিয়ে দম বন্ধ করে মেরে ফেলে গিলে নেয়। আর যেগুলি বিষধর সাপ সেগুলির মধ্যে প্রায় ২০০ টি সাপ রয়েছে যাদের কামড়ে মানুষের ক্ষতি এমনকি মৃত্যু হতে পারে। কাজেই সাপে কাটলে সময় নষ্ট না করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছনো উচিত।
আমরা প্রায়ই সাপকে তার দুইভাগে বিভক্ত জিহ্বাকে বার করতে দেখি, কেন তারা এটা করে? সাপের নাসারন্ধ্র (Nostril) বর্তমান। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে এবং গন্ধ অনুভবের জন্যে ব্যবহৃত হয়। বারবার জিহ্বাকে বার করে সাপ আশপাশের বায়ুমণ্ডল থেকে রাসায়নিক পদার্থের কণা সংগ্রহ করে, তারা যখন জিহ্বাকে মুখের ভিতরে ঢোকায় তখন তাতে লেগে থাকে কণাগুলি অলফ্যাক্টরি (Olfactory) সেন্টারে, যা জ্যাকবসন’স অর্গান (Jacobson’s organ) নাম পরিচিত, যায় এবং বিশ্লেষিত হয়। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা আশেপাশে কোনো খাদ্য রয়েছে কিনা বা পরিবেশ নিরাপদ কিনা তা বুঝতে পারে। চোখের সামনে অবস্থিত পিট হোলের (Pit holes) মাধ্যমে উষ্ণ রক্তের প্রাণী থেকে বেরিয়ে আসা উষ্ণ তরঙ্গকে অনুভব করতে পারে। আবার নিচের চোয়াল স্থিত হাড়গুলি ছোট স্তন্যপায়ী রোডেন্ট ইত্যাদি প্রাণীদের চলাফেরায় যে কম্পন উৎপন্ন হয় তা উপলব্ধি করতে পারে। এইভাবে তারা শিকার ধরে। সাপের কানের পর্দা (Eardrum) নেই, তবে তাদের অন্তঃকর্ণের (Inner ear) সুগঠিত, ককলিয়া (Cochlea) বর্তমান এবং অন্তঃকর্ণ চোয়ালের হাড়গুলির সাথে সংযুক্ত। কম্পন অনুভবের মাধ্যমে এরা শুনতে পায়।
এবার একটু সাপের বিষদাঁতের (Fang) কথায় আসা যাক। সাপেদের প্রায় ১৫ টি ফ্যামিলি রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে বিষধর সাপের মাত্র পাঁচটি ফ্যামিলির অন্তর্গত। এরা ভাইপারিডি (Viperidae), এট্রাকটাসপিডিডি (Atractaspididae), ইলাপিডি (Elapidae), কলুব্রিডি (Colubridae) এবং হোমালোপসিডি (Homalopsidae)। ভাইপারিডি (রাটেল স্নেক (Rattlesnake), ভাইপার (Viper), পিট্ ভাইপার (Pit viper)) এবং এট্রাকটাপিডিডি (মোল ভাইপার (Mole viper), স্টিলেটো স্নেক (Stiletto snakes)) ফ্যামিলির সাপেদের বিষদাঁতটি বেশ লম্বা নলাকার, এবং এর আগায় একটি ছিদ্র থাকে যা দিয়ে বিষ শিকারের শরীরে প্রবেশ করে। ইলাপিডি ফ্যামিলির সাপেদের, যাদের মধ্যে রয়েছে কোবরা, মাম্বা, সামুদ্রিক স্নেক, বিষদাঁতটি তুলনায় একটু ছোট, নলাকার এবং চোয়ালের সাথে ভালোভাবে যুক্ত, এবং এর আগায় ছিদ্র থাকে যা দিয়ে বিষ শিকারের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেয়। কলুব্রিডি (সর্ববৃহৎ ফ্যামিলি, বুমস্ল্যাং (Boomslang), ট্রি-স্নেক (Tree sanke) এদের উদাহরণ) এবং হোমালোপসিডি (ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান জলের সাপগুলি এদের উদাহরণ) ফ্যামিলিভুক্ত সাপগুলির বিষদাঁত মুখের পিছনের দিকে থাকে এবং এতে একটি গ্ৰুভ দেখা যায়। এবার যদি বিষের রাসায়নিক ক্রিয়ার উপর দৃষ্টিপাত করা যায়, তবে দেখা যাবে সাপের বিষ সাধারণত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। সাধরণত, কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও, ভাইপারিডি, এট্রাকটাপিডিডি সাইটোটক্সিক (Cytotoxic; কোষের জন্যে বিষাক্ত), ইলাপিডি নিউরোটক্সিক (Neurotoxic; নার্ভের জন্য বিষাক্ত), কলুব্রিডি এবং হোমালোপসিডি হিমোটক্সিক (Hemotoxic; রক্তের কোষের জন্যে বিষাক্ত) বিষ নির্গত করে।
অপর গুরুত্বপূর্ণ সাব-ক্লাসটি হলো আর্কোসাউরিয়া (Archosauriya) যার অন্তর্গত অর্ডারটি ক্রোকোডিলিয়া (Crocodilia) বা লোরিক্যাটা (Loricata)। কুমির (Crocodile), ঘড়িয়াল (Ghorial), এলিগ্যাটার (Alligator) এর উদাহরণ। এই ছোট চিড়িয়াখানাটিতে কোনো কুমির বা এলিগ্যাটার রাখা নেই, তবে আমাদের দেশে এদের প্রাচুর্য্য রয়েছে।
আশা করি সরীসৃপ প্রাণীদের সম্বন্ধে একটা সাধারণ ধারণা দেওয়া গেলো।
কৃতজ্ঞতা: এই বিবরণেও ব্যবহৃত ছবিগুলির অধিকাংশ আমার স্ত্রীর তোলা, তাঁর থেকে সেগুলি আমি সংগ্রহ করেছি।
সেপ্টেম্বর, ২০২১
বি.দ্র. প্রবন্ধটি ২৪শে নভেম্বর ২০২২ সালে আমার ব্লগে প্রথম প্রকাশিত হয়, পুনরায় প্রবন্ধটি এই সাইটে প্রকাশিত হলো।
Blogs
Our Latest Blogs
পূর্ববর্তী ব্লগটিতে আমি সুস্থায়ী খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষায় ঐতিহ্যগত জ্ঞান কেন আবশ্যিক সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে প্রধানত আমি কারণগুলিকে উল্লেখ করেছি, তবে বিশদে উদাহরণ সহযোগে সেগুলি বর্ণনার অবকাশ এখনও রয়েছে, সে বিষয়ে আমি পরে অবশ্যই লিখবো। বর্তমান ব্লগটিতে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কি কি উপায়ে সুস্থায়ী খাদ্য এবং পুষ্টি সুরক্ষায় এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্যগুলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 27 Jan 2025
বর্তমান আলোচনায় প্রথম প্রয়োজন ঐতিহ্যগত জ্ঞান (বা Traditional Knowledge) কি সেটা বোঝা। ঐতিহ্যগত জ্ঞান বলতে বোঝায় সঞ্চিত জ্ঞান, অনুশীলন, দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং প্রজ্ঞাকে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কোনো সম্প্রদায় বা সমাজের মধ্যে সময়ের সাথে সাথে প্রবাহিত হয়।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 27 Jan 2025
মাছে -ভাতে বাঙালী। খাদ্য নির্বাচনের সূত্র মেনেই জলবহুল বাংলায় অনাদিকাল থেকেই মাছ বাঙালীর খাদ্য হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। মাছ চিরকালই বাঙালির রসনাকে তৃপ্ত করার পাশাপাশি পুষ্টি প্রদান করে এসেছে।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 27 Jan 2025
পূর্ববর্তী ব্লগে পরাগসংযোগকারী কীট-পতঙ্গ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম (অনুগ্রহ করে পড়ুন খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চয়তায় পরাগ-সংযোগকারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা)। বর্তমান ব্লগটিতে কীট-পতঙ্গ ছাড়া অন্য কয়েকটি প্রাণী নিয়ে আলোচনা করবো যারাও পরাগায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 27 Jan 2025
কীট-পতঙ্গ, বিশেষত পরাগ বহনকারী বা পরাগ-সংযোগকারী কীট-পতঙ্গ (Pollinator), আমাদের খাদ্য উৎপাদনের জন্যে অপরিহার্য। যে সকল খাদ্যশস্য আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি তার প্রায় ৭৫% পরাগ-সংযোগকারী প্রাণীদের উপর নির্ভর করে, এই সকল পরাগ-সংযোগকারী প্রাণীদের মধ্যে কীট-পতঙ্গ উল্লেখযোগ্য।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 26 Jan 2025
ইতিপূর্বে খাদ্যের রূপান্তরের সম্বন্ধে একটি ব্লগে আমি সবিস্তারে আলোচনা করেছি। বর্তমানেও এর ধারা অব্যাহত। এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে, যেমন অর্থনৈতিক উন্নতি বা আয় বৃদ্ধি, নগরায়ন, এবং অবশ্যই বিশ্বায়ন। বর্তমান আলোচনাটি আমি সীমাবদ্ধ রাখবো খাদ্য ব্যবস্থার উপরে বিশ্বায়নের প্রভাবের বিষয়ে।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 26 Jan 2025
আমরা আমাদের খাদ্যের দিকে একটু তাকাই, দেখবো খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, তা ব্যবহার হচ্ছে এবং অব্যবহৃত অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা সরলরেখার ন্যায় (Linear economy)। উৎপাদন-ব্যবহার-নষ্ট (Make-Take-Waste)। কিন্তু এই যে অংশটি ব্যবহার হচ্ছে না, তা উৎপাদন করতেও তো পয়সা লেগেছে। শুধু যে পয়সা লেগেছে, এমনটা নয়, জমি লেগেছে, জল লেগেছে, সার লেগেছে, আবার সেই অতিরিক্ত সার পরিবেশের উপর ঋণাত্মক প্রভাবও ফেলেছে - এ সকলই তো বৃথা গেলো, কোনো উপকার তো হলোই না, বরং অপকার হলো। কাজেই, এই উৎপাদন-ব্যবহার-নষ্ট (Make-Take-Waste) মডেলটি কার্যকরী হচ্ছে না। তবে কি করতে হবে? এই সরলরৈখিক সম্পর্কটিকে বৃত্তাকার সম্পর্কে (Circular economy) পরিণত করতে হবে।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 26 Jan 2025
আনদং থেকে সাড়ে ন'টার বাসে রওনা হয়ে পূর্ব সোলে (Dong Seoul) এসে পৌঁছলাম প্রায় দুপুর সোয়া এক'টায়। সেখান থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা রেস্তোরাঁ।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 26 Jan 2022
পূর্বের একটি ব্লগে আমি (বাস্তুতন্ত্রের সেবা প্রদান এবং খাদ্য) বাস্তুতন্ত্র কিরূপে আমাদের খাদ্য সংস্থান বিষয়ে পরিষেবা প্রদান করে সেই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। এই ব্লগটিতে বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে খাদ্য সংকট উৎপন্ন হচ্ছে তার মোকাবিলা বাস্তুতন্ত্রের উপর নির্ভর করে কিরূপে করা সম্ভব তার উপর আলোচনা করবো।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 23 Jan 2025
'আঃ বড্ড দাম নিচ্ছ, তরকারীতে তো হাত দেওয়ার উপায় নেই গো'। খদ্দেরের অভিযোগ শুনে বিক্রেতা একগাল হেসে, 'আমরাও তো দাম দিয়ে কিনে আনি বাবু, কতটুকু আর লাভ থাকে! তবে মাল আমার এখানে এক্কেবারে টাটকা' এই বলে প্রয়োজনীয় সব্জিগুলি খদ্দেরকে গুছিয়ে দিয়ে দেয়।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
পূর্বে একটি ব্লগে আমি বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের সংরক্ষিত স্থান, বিভিন্ন প্রকারের জঙ্গলের বিষয়ে একটা প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ আলোচনা করবো এই জঙ্গলের বন্য প্রাণ নিয়ে।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
পূর্বের ব্লগটিতে আমি বিভিন্ন প্রকার ফরেস্ট বা জঙ্গলের বর্ণনা করেছি। এই ব্লগটিতে আমি দক্ষিণ কোরিয়ার ফরেস্টের কয়েকটি ছবি দিলাম, বছরের বিভিন্ন সময় টেম্পারেট ফরেস্টের বিভিন্ন রূপ।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা জঙ্গলকে (ফরেস্ট/Forest) খুব ভালোবাসেন, প্রকৃতির হাতছানিতে, জীবজন্তু কিংবা উদ্ভিদের আকর্ষণে প্রায়ই, বা সপ্তাহান্তে, বেরিয়ে পড়েন জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। আমার এই ব্লগের উদ্দেশ্য জঙ্গল সম্বন্ধে প্রাথমিক আলোচনা করা, বিভিন্ন প্রকার সংরক্ষিত স্থান (মূল উদ্দেশ্য- সংরক্ষণ), বিভিন্ন প্রকার জঙ্গলের (পরিবেশগত ভাবে) আলাদা আলাদা চরিত্র ইত্যাদি নিয়ে একটু চর্চা করা।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
এবার একটু সরীসৃপ (Reptiles; class: Reptilia) প্রাণীদের দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক। আনদং-র চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের সংগ্রহে অনেক সরীসৃপ প্রাণী এখানে প্রদর্শনের জন্যে রেখেছেন।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
আনদং-এ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্নিকটে, ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই একটি ছোট চিড়িয়াখানা রয়েছে। আমরা সপ্তাহান্তে প্রায়ই সেখানে যাই।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 22 Jan 2025
ইতিপূর্বে পুষ্টি সুরক্ষা ও খাদ্য সংস্থান সম্পর্কিত ৪ টি পর্ব লিখেছি, সেখানে মিলেট, শাক, ডাল ইত্যাদির বিষয়ে উল্লেখ করেছি। আজ এই পর্বে একটু অন্য প্রকারের খাদ্যের কথা উল্লেখ করবো, যা বহুলভাবে ব্যবহৃত হলেও অতটা পরিলক্ষিত হয় না। ফার্মেন্টেড ফুড (Fermented foods) বা সন্ধানীকৃত খাদ্য এবং পানীয়ের কথা বলছি।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 20 Jan 2025
ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় তাঁর 'বাঙালীর ইতিহাস' গ্রন্থে প্রাচীন বাংলায় বাঙালির খাদ্যতালিকায় ডালের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 20 Jan 2025
বর্তমান পৃথিবীতে অন্যতম একটি সমস্যা হল 'মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সি' (Micro-nutrient deficiency), যা অনেক সময় 'হিডেন হাঙ্গার' (Hidden hunger) বলেও পরিচিত।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 20 Jan 2025
ভারতবর্ষ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বৎসর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করেছিল, যা ফুড এবং এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (Food and Agriculture Organisation of United Nations) ও জাতিসংঘের (United Nations) সাধারণ পরিষদ অনুমোদন করেছে (FAO events)। আমরা এই পর্বে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মিলেট নিয়ে আলোচনা করবো।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 17 Jan 2025
পুষ্টি সুরক্ষা এবং খাদ্য সংস্থান- পর্ব-১: সূচনা (Nutrition Security and Food – Part-1: Introduction)
বর্তমান ভারতবর্ষের তথা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো অপুষ্টি। ভারতবর্ষের দিকে দৃকপাত করলে, ক্ষুধা এবং পুষ্টি সংক্রান্ত সমসাময়িক কালে যে সকল প্রতিবেদন উঠে আসছে তার কোনোটিই যে অতি আশাপ্রদ নয় এ কথা বলাই বাহুল্য। স্বাধীন ভারতবর্ষে দেশবাসীর খাদ্য সুরক্ষা হেতু একাধিক প্রকল্পের প্রবর্তন হয়েছে।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 17 Jan 2025
খাদ্য থেকে পুষ্টি সংগৃহীত হয়, যার মাধ্যমে জীব প্রাণ ধারন করে। অতএব সকল জীবের ন্যায় মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি এবং খাদ্যগ্রহনের পর শারীরিক উপযুক্ততা জীবকে খাদ্য নির্ধারণে সহায়তা করে। আবার, আহার তালিকায় খাদ্যবস্তুর সংযোজন বা বিয়োজন হলো খাদ্যতালিকা বা আহারের রূপান্তর।
- সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)
- 17 Jan 2025